22 Nov 2024, 12:19 am

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ৫০ বছরে ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বৈরি আবহাওয়ার কারণে গত ৫০ বছরে ২০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লিউএমও)। সংস্থাটির সোমবার প্রকাশিত নতুন পরিসংখ্যানে আরো বলা হয়েছে, এ সময়ে চরম আবহাওয়ায় অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে ৪ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের।

ডব্লিউএমও বলছে, ১৯৭০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৭৮টি আবহাওয়া-সম্পর্কিত বিপর্যয় ঘটেছে।  প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এই দুর্যোগের কারণে বিশ্বব্যাপী ৯০ শতাংশেরও বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। ডব্লিউএমও প্রধান পেটেরি তালাস বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আবহাওয়া, জলবায়ু এবং পানি-সম্পর্কিত বিপদের ধাক্কাগুলো টের পাবে সবচেয়ে দুর্বল সম্প্রদায়গুলো। ঘূর্ণিঝড় মোখা গত সপ্তাহে মিয়ানমার ও বাংলাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তালাস এই বাস্তবতার উদাহরণ টেনে বলেন, ‘তীব্র ঝড় ব্যাপক ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্ররা’। প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা উল্লেখযোগ্যভাবে মানুষের প্রাণহানি কমিয়েছে বলেও জানান তালাস। তিনি বলেন, ‘অতীতে মোখার মতো দুর্যোগের সময় মিয়ানমার এবং বাংলাদেশের ১০ হাজার থেকে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল’। মিয়ানমারের সামরিক সরকার বলছে, সর্বশেষ ঘূর্ণিঝড়ে তাদের দেশে ১৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সংখ্যাটি আরো বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ডব্লিউএমওর ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদনে ১৯৭০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দুর্যোগ সম্পর্কিত মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতির রেকর্ড রয়েছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুরুর দিকে প্রতি বছর ৫০ হাজারের বেশি মৃত্যু দেখেছে বিশ্ব। তবে ২০১০ সালের দিকে সেই সংখ্যাটা নেমে ২০ হাজারে দাঁড়িয়েছে।

ডব্লিউএমও সোমবার জানায়, ২০২০ এবং ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ২২ হাজার ৬০৮টি দুর্যোগের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সতর্কতা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য এই বিপর্যয়মূলক মৃত্যুর হার এখন ইতিহাস। প্রাথমিক সতর্কতা জীবন বাঁচায়। ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ গোটা বিশ্বকে দুর্যোগের আগাম সতর্কতা ব্যবস্থার আওতায় আনতে জাতিসংঘ একটি পরিকল্পনা চালু করেছে। বিশ্বের মাত্র অর্ধেক দেশেই এখন এ ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।

প্রতিবেদনে মৃত্যু কমলেও আবহাওয়া-সম্পর্কিত দুর্যোগে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে বলে সতর্ক করেছে ডব্লিউএমও। সংস্থাটি আগের রেকর্ড বলছে, অর্থনৈতিক ক্ষতি ১৯৭০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাত গুণ বেড়েছে। ধনী দেশগুলো এখন পর্যন্ত আর্থিক দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবহাওয়া, জলবায়ু এবং পানি বিপর্যয়ের কারণে ৬০ শতাংশেরও বেশি ক্ষতির জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলো। তবে চার পঞ্চমাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে প্রতিটি দুর্যোগের জন্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোট দেশজ উত্পাদনের (জিডিপি) শূন্য দশমিক ১ শতাংশের কাছাকাছি ছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

  • Visits Today: 6249
  • Total Visits: 1263421
  • Total Visitors: 4
  • Total Countries: 1668

আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং
  • ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (হেমন্তকাল)
  • ১৯শে জমাদিউল-আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, রাত ১২:১৯

Archives

MonTueWedThuFriSatSun
    123
18192021222324
252627282930 
       
15161718192021
293031    
       
  12345
2728     
       
     12
3456789
10111213141516
17181920212223
31      
  12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930   
       

https://youtu.be/dhqhRb9y018